Friday 31 July 2015

সাইকোপ্যাথ এবং সোশিওপ্যাথের মধ্যে পার্থক্য

সাইকোপ্যাথ এবং সোশিওপ্যাথ আলাদা হলেও কিছু মিলও রয়েছে তাদের। যেমন- তাদের অন্যের প্রতি সহানুভূতি নেই। অপরাধের বিষয়ে অনুতাপ নেই। আইন এবং নিয়মের প্রতি অবজ্ঞা কাজ করে তাদের। তবে দুজনের একেবারে মৌলিক যে বৈশিষ্ট্যটা মেলে তা হলো, এরা প্রতারক এবং অপরাধ সংঘটনে নানারকম ধান্দাবাজির আশ্রয় নেন।

সোশিওপ্যাথরা আবেগ ধরে রাখতে স্থিতিশীল নন। তারা খুব বেশি আবেগপ্রবণ, বেশ ভদ্র, কথাবার্তায় বেশ সোশ্যাল। হিংস্রতা থাক বা না থাক, অপরাধ করার সময় সোশিওপ্যাথরা তা করার ক্ষেত্রে ব্যাপক মানসিক চাপ অনুভব করেন। তারা ধৈর্য্যশীল নন এবং খুব বেশি পরিকল্পিতও নন।

অন্যদিকে, সাইকপ্যাথরা অপরাধ করার ক্ষেত্রে সূক্ষ্ম বিষয়গুলোও পর্যবেক্ষণ করেন। ধরা পড়ার সব পথ বন্ধ করার চেষ্টা করেন এবং ঝুঁকির মাত্রা বিশ্লেষণ করেন। তারা খুব কম ভুল করেন।

এই দুই ধরনের মানুষের মধ্যে আদৌ পার্থক্য রয়েছে কিনা তা নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। তবে
যারা পার্থক্য করেন তাদের মতে,ড্রাগ বা সমাজবিরোধী কাজে আসক্তি এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষরা সাইকোপ্যাথ হয়ে ওঠেন। এই মানসিক অবস্থা বংশগতভাবে চলে আসতে পারে। আর মস্তিষ্কে আঘাত, হিংসা,নিপীড়ন বা অবহেলার শিকার হয়ে মানুষ সোশিওপ্যাথ হয়ে উঠতে পারেন। 

সাইকোপ্যাথ এবং সোশিওপ্যাথ উভয়ই মারাত্মক এবং ঠান্ডা মাথার খুনী হতে পারেন। দু ধরনের মানুষই ঠান্ডা মাথায় অপরাধ করতে অভ্যস্ত। 

সূত্র : ইনডিপেন্ডেন্ট

No comments:

Post a Comment