উত্তরঃ যখন আপনার ভিতর মানসিক চাপ, হতাশা, উদ্বিগ্নতা ইত্যাদি তীব্র ভাবে অনুভূত হবে, এই লণ দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে এবং আপনার সামাজিক, পারিবারিক, ব্যক্তিগত, পেশাগত জীবন বিপর্যস্ত হবে তখন আপনার সাইকোথেরাপি দরকার। তবে সচেতন মানুষেরা লণ অধিক তীব্র হওয়ার আগেও সাইকোথেরাপির মাধ্যমে অসুস্থ্য হওয়ার ঝুকি কমিয়ে থাকেন। এছাড়া লণ তীব্র না হলেও মানসিক ভাবে অসুস্থ্য হওয়ার ঝুকি না থাকলেও জীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আপনি কাউন্সেলিং নিতে পারেন।
উত্তরঃ বাংলাদেশে পূর্র্ণ বয়স্ক মানুষের ভিতর ১৬.১ ভাগের এবং শিশুদের ভিতর ১৮.৪ ভাগের মানসিক রোগ আছে।
উত্তরঃ সাইকোথেরাপি হল মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি। সাইকোথেরাপিতে সাইকোলজিস্ট পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কায়েন্টের মনের কথা শুনেন। কায়েন্ট তার মনের কথা বলে হালকা হয়ে নিজেই নিজের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তগুলো নেন। প্রয়োজনে সাইকোলজিস্ট কায়েন্টকে বিভিন্ন ধরণের দতা প্রশিণও দেন। যেমন, সামাজিক দতা প্রশিণ, সমস্যার সমাধানের দতা প্রশিণ ইত্যাদি। এছাড়া কায়েন্টের মনের মধ্যে যদি নেতিবাচক চিন্তা বা ধ্যান ধারণা থাকে তবে কথা বলে ও যুক্তির মাধ্যমে পরোভাবে তা সংশোধনের চেষ্টাও সাইকোথেরাপিতে করা হয়। নেতিবাচক চিন্তা কমে গেলে কায়েন্টের মন ভাল হয়ে আসে, তার আচার-আচরণও শারীরিক লণেরও উন্নতি হয়। সাইকোথেরাপি সেশন সচরাচর অন্তুতঃ পঞ্চাশ মিনিট হয়। কখনো কখনো এমনকি এর বেশীও হতে পারে। একটি মাত্র সেশনে কিন্তু কাজ হয়না। সচরাচর সপ্তাহে একটি করে অন্ততঃ আট দশটি সেশন প্রয়োজন হয়। তবে সমস্যা ও ব্যক্তির চাহিদা অনুযায়ী বেশিও লাগতে পারে।