মানব সভ্যতার সবচেয়ে পুরাতন রোগ মানসিক রোগ। সভ্যতার বিভিন্ন স্তরে বিভিন্নভাবে মানসিক রোগকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখার মধ্যে মানসিক রোগের উপসর্গ পাওয়া যায়। বর্তমান পৃথিবীর গবেষণায় নিত্যদিন নতুন নতুন মানসিক রোগের ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে। এখন মানসিক রোগ আগের যে কোন সময়ের চেয়ে সহজ এবং বেশি নিরাময় যোগ্য। পূর্বে যেমন ধারণা ছিল পরিবেশ, সামাজিক কারণ, বংশানুক্রমিক ইত্যাদি কারণে মানসিক রোগ হতে পারে।
পৃথিবীর যে কোন দেশে যে কোন সমাজে নারী পুরুষ নির্বিশেষে, যে কোন ধরনের প্রকার ভেদে মানসিক রোগ হতে পারে। তবে বয়স অনুযায়ী এবং লিঙ্গ অনুযায়ী
মানসিক রোগের ধারণাটা একটু আলাদা হতে পারে। আমাদের দেশে অশিক্ষা, কুসংস্কার এবং দক্ষ জনশক্তির অভাব আছে বলেই আমরা সঠিক চিকিৎসা সঠিক সময়ে প্রয়োগ করতে পারি না।
মনে রাখবেন শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ থাকার নাম সুস্বাস্হ্য। মন ও শরীর একে অপরের পরিপূরক। এর যে কোন একটার অসুস্থ্যতার জন্য অন্য যে কোনটি অসুস্হ্য হতে পারে। শরীর যেমন অসুস্থ্য হয় মন তেমন অসুস্থ্য' হয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় শারীরিক যত্নে পাশাপাশি মানসিক যত্নের প্রয়োজন।
বাংলাদেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা কত?এক কথায় সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে মানসিক রোগের প্রকোপ ও বিস্তার আমাদের দেশে এখনও নির্ণয় করা সম্ভব হয় নি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী তৃতীয় বিশ্ব ও অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা ১ ভাগ জটিল মানসিক রোগ ও শতকরা ১০ ভাগ অন্যান্য মানসিক রোগের শিকার। শতকরা ৩০ ভাগের যে কোন সময় মানসিক রোগ হতে পারে। শারীরিক চিকিৎসার জন্য যেসব রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে যান, তাদের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ রোগী মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন। আসলে তারা যে, মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তা বুঝতে না পেরে তাদের উপসর্গ গুলো শারীরিকভাবে প্রকাশ করে। যেমন মাথা ব্যথা, শরীর ব্যাথা, শরীরের দুর্বলতা, ইত্যাদি।
আমাদের দেশে অনেক মানসিক রোগী এই রোগ সম্বন্ধে ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনরূপ চিকিৎসা ছাড়াই দিন কাটাচ্ছে। তারা বিশ্বাস করে গত জীবনের খারাপ কর্মফল, মন্ত্র-তন্ত্র, প্রেতাত্মা, পরী, ভূত ইত্যাদি মানসিক রোগের কারণ। ফলে তারা কবিরাজ, মৌলভী সাহেব, হাতগণক, তন্ত্রীক-সাধু, বিভিন্ন প্রকারের ফকির এদের দেয়া পানি পড়া, ঝাড়ফুঁক, তাবিজ-টোনা, মাদুলী, চাকা, শিকড়-বাকড় এমন কি বেত্রাঘাত, মরিচ পড়া দেয়া, পেটানো, শরীরে গরম পানি ঢালা গাছের নিছে বেঁধে রাখা ইত্যাদি অমানবিক অপচিকিৎসায় বিশ্বাস করেন। তাদের মধ্যে এতটুকু জ্ঞানও নেই যে সামান্য বৈজ্ঞানিক চিকিৎসায় এ রোগ সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ সম্ভব। সাধারণ মানুষের হাসপাতাল সম্বন্ধে একটা ভীতি রয়েছে। যদি তা মানসিক হাসপাতাল হয় সে ক্ষেত্রে তারা আরো বেশি ভয় পেয়ে যায়। তাদের ধারণা মানসিক হাসপাতাল গুলোতে অতি ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর রোগীকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এমন কি তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন কোনোরূপ মানাসিক রোগে আক্রান্ত হলে মানসিক হাসপাতাল বা মানসিক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে চান না। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পর্যায়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগীদেরকে ছোট এবং হেয় করে দেখা হয়। তাদের বিবাহ জনিত সমস্যার উদ্ভব হয়। অথচ মানসিক রোগ যে নিতান্ত অল্প আকারের হতে পারে সে সমন্ধে তাদের ধারণা নেই। অন্য আর দশটি রোগের মত এই রোগ যে কোন সময় যে কোন লোকের হতে পারে।
এ জন্য আমাদের মানসিকভাবে পরিবর্তন প্রয়োজন। তা না হলে বিরাট এক জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সুবিধা বঞ্চিত হবে এবং তারা ভুগতেই থাকবে।মানসিক অসুস্থতা মানেই উন্মাদগ্রস্ততা নয়। প্রতিটি মানুষের জীবনে এ ধরনের সংকট জটিলতা আসতেই পারে। প্রাথমিক অবস্থায় সমস্যার সমাধান না হলে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক অস্থিরতা চলে আসতে পারে।
সংকলিত
পৃথিবীর যে কোন দেশে যে কোন সমাজে নারী পুরুষ নির্বিশেষে, যে কোন ধরনের প্রকার ভেদে মানসিক রোগ হতে পারে। তবে বয়স অনুযায়ী এবং লিঙ্গ অনুযায়ী
মানসিক রোগের ধারণাটা একটু আলাদা হতে পারে। আমাদের দেশে অশিক্ষা, কুসংস্কার এবং দক্ষ জনশক্তির অভাব আছে বলেই আমরা সঠিক চিকিৎসা সঠিক সময়ে প্রয়োগ করতে পারি না।
মনে রাখবেন শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ থাকার নাম সুস্বাস্হ্য। মন ও শরীর একে অপরের পরিপূরক। এর যে কোন একটার অসুস্থ্যতার জন্য অন্য যে কোনটি অসুস্হ্য হতে পারে। শরীর যেমন অসুস্থ্য হয় মন তেমন অসুস্থ্য' হয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় শারীরিক যত্নে পাশাপাশি মানসিক যত্নের প্রয়োজন।
বাংলাদেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা কত?এক কথায় সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে মানসিক রোগের প্রকোপ ও বিস্তার আমাদের দেশে এখনও নির্ণয় করা সম্ভব হয় নি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী তৃতীয় বিশ্ব ও অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা ১ ভাগ জটিল মানসিক রোগ ও শতকরা ১০ ভাগ অন্যান্য মানসিক রোগের শিকার। শতকরা ৩০ ভাগের যে কোন সময় মানসিক রোগ হতে পারে। শারীরিক চিকিৎসার জন্য যেসব রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে যান, তাদের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ রোগী মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন। আসলে তারা যে, মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তা বুঝতে না পেরে তাদের উপসর্গ গুলো শারীরিকভাবে প্রকাশ করে। যেমন মাথা ব্যথা, শরীর ব্যাথা, শরীরের দুর্বলতা, ইত্যাদি।
আমাদের দেশে অনেক মানসিক রোগী এই রোগ সম্বন্ধে ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনরূপ চিকিৎসা ছাড়াই দিন কাটাচ্ছে। তারা বিশ্বাস করে গত জীবনের খারাপ কর্মফল, মন্ত্র-তন্ত্র, প্রেতাত্মা, পরী, ভূত ইত্যাদি মানসিক রোগের কারণ। ফলে তারা কবিরাজ, মৌলভী সাহেব, হাতগণক, তন্ত্রীক-সাধু, বিভিন্ন প্রকারের ফকির এদের দেয়া পানি পড়া, ঝাড়ফুঁক, তাবিজ-টোনা, মাদুলী, চাকা, শিকড়-বাকড় এমন কি বেত্রাঘাত, মরিচ পড়া দেয়া, পেটানো, শরীরে গরম পানি ঢালা গাছের নিছে বেঁধে রাখা ইত্যাদি অমানবিক অপচিকিৎসায় বিশ্বাস করেন। তাদের মধ্যে এতটুকু জ্ঞানও নেই যে সামান্য বৈজ্ঞানিক চিকিৎসায় এ রোগ সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ সম্ভব। সাধারণ মানুষের হাসপাতাল সম্বন্ধে একটা ভীতি রয়েছে। যদি তা মানসিক হাসপাতাল হয় সে ক্ষেত্রে তারা আরো বেশি ভয় পেয়ে যায়। তাদের ধারণা মানসিক হাসপাতাল গুলোতে অতি ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর রোগীকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এমন কি তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন কোনোরূপ মানাসিক রোগে আক্রান্ত হলে মানসিক হাসপাতাল বা মানসিক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে চান না। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পর্যায়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগীদেরকে ছোট এবং হেয় করে দেখা হয়। তাদের বিবাহ জনিত সমস্যার উদ্ভব হয়। অথচ মানসিক রোগ যে নিতান্ত অল্প আকারের হতে পারে সে সমন্ধে তাদের ধারণা নেই। অন্য আর দশটি রোগের মত এই রোগ যে কোন সময় যে কোন লোকের হতে পারে।
এ জন্য আমাদের মানসিকভাবে পরিবর্তন প্রয়োজন। তা না হলে বিরাট এক জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সুবিধা বঞ্চিত হবে এবং তারা ভুগতেই থাকবে।মানসিক অসুস্থতা মানেই উন্মাদগ্রস্ততা নয়। প্রতিটি মানুষের জীবনে এ ধরনের সংকট জটিলতা আসতেই পারে। প্রাথমিক অবস্থায় সমস্যার সমাধান না হলে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক অস্থিরতা চলে আসতে পারে।
সংকলিত
https://www.facebook.com/Psychobd/
No comments:
Post a Comment