Monday 29 October 2012

সিজোফ্রেনিয়া রোগীর সাথে পরিবার সদস্যদের করণীয়

সিজোফ্রেনিয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী, তীব্র এবং জটিল রোগ যা যুগে যুগে মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে। এ রোগে আক্রান্তরা মনে করে- অন্যরা তার আচরণ বোঝে, অন্যরা তার চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে বা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এ সকল বিষয় রোগীকে অসুস্থ ও উত্তেজিত করে তোলে। এ রোগ মানুষের চিন্তা, আচরণ, আবেগ, বাস্তব জ্ঞান প্রভৃতিতে প্রভাব ফেলে। অবশ্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে অনেক রোগী সমাজে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রোগীর সাথে পরিবার সদস্যদের করণীয়সমূহ- 



১. রোগীর সাথে তার রোগের বিষয়ে কথা বলা। তার কি সমস্যা হয় জানা।
২. তার অদ্ভূত আচরণ সম্পর্কে জানা।
৩. নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান। তা না হলে পুনরায় রোগে প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে। 
৪. রোগীর বেজার মনোভাব এবং বিশ্বাস সম্পর্কে জানা। রোগীর অদ্ভূত বিশ্বাসের সাথে সমর্থন না জানানো। রোগী যে সকল শব্দ নিজে নিজে শোনে তার প্রতি সমর্থন না জানানো। তাকে বোঝানো এগুলো বাস্তব হতে পারে না। এগুলো কল্পনা বা মিথ্যা। তবে তাদের বিশ্বাসকে প্রথমেই জোরালোভাবে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। কথা বলার সময় অন্য দিকে মোড় ঘুরিয়ে নিতে হবে। এমন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে যেখানে রোগীর সাথে একমত হওয়া যায়। 
৫. ডাক্তারের পরারর্শ মত ঔষধ বন্ধ করতে হবে। কখনই রোগীর বা নিজেদের ইচ্ছা মত ঔষধ বন্ধ করা যাবে না।
৬. রোগী মাদকসেবী হলে চিকিৎসককে জানাতে হবে। 
৭. এ রোগীকে বাইরে থেকে দেখে সাধারণত বোঝার কোন উপায় থাকে না। 
৮. এ রোগে আক্রান্তরা হাসপাতালে থাকে না। পরিবার সদস্যদের সাথে থাকে। পরিবার সদস্যরা রোগীর আচরণ সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা রাখে। চিকিৎসকের পরামর্শ মত পরিবার সদস্যরা চিকিৎসা কৌশল ব্যবহার করতে পারে। 
৯. পরিবারের সকলে যদি রোগীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয় তাহলে রোগী নিজেকে নিঃসঙ্গ ভাবে না। রোগের অবস্থার দ্রুত উন্নতি হয়। 
১০. রোগীর সাথে সদ্ব্যবহার করা। 
১১. রোগীর ভয় সম্পর্কে জানা।
১২. রোগীরকে শারীরিক পরিশ্রম করানো। 
(সূত্র: ইন্টারনেট)

No comments:

Post a Comment