Sunday 16 December 2012

আত্মহত্যা প্রবণতা কেন?



মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতার কারণেই মানুষ আত্মহত্যা করে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় মস্তিষ্কের গ্গ্নুটামিক এসিডের ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে আত্মঘাতী আচরণের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, যেসব মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে তাদের মস্তিষ্কে গ্গ্নুটামেট অধিক কার্যকর থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

গ্গ্নুটামেট হচ্ছে এক ধরনের অ্যামিনো এসিড যা স্নায়ুকোষের মধ্যে সংকেতের আদান-প্রদান করে। কোষ থেকে কোষে সংকেত পাঠাতে গ্গ্নুটামেটকে সহায়তা করে কুইনোলিনিক এসিড। গবেষকরা সুইডেনের প্রায় ১০০ রোগীর ওপর গবেষণা চালান। এসব রোগী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

এতে দেখা যায়, আত্মহত্যার চেষ্টা করা এসব মানুষের স্পাইনাল তরল পদার্থের মধ্যে স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে কুইনোলিনিক এসিড রয়েছে। যার অর্থ এদের গ্গ্নুটামেট অধিক কার্যকর। এতে প্রমাণিত হয় যে সব মানুষের মস্তিষ্কের রসায়নে কুইনোলিনিক এসিডের পরিমাণ কম তাদের আত্মহত্যার ঝুঁকি কম। এ বিষয়ে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লেনা ব্রুনদিন বলেন, গবেষণায় আত্মহত্যার প্রবণতার সঙ্গে মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন সময় এসেছে মস্তিষ্কের অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গ্গ্নুটামেটের কার্যকারিতার বিষয়টির ওপর নজর দেওয়ার। জিনিউজ অনলাইন।

No comments:

Post a Comment