দুদিন আগেই একটা পোস্ট দিয়েছিলাম মাদকাসক্তি সম্পর্কে। http://www.somewhereinblog.net/blog/akramblog/29866435#c10129385
কে জানত এর মধ্যেই ঐশীও এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে?
নিজের মা বাবাকে ঠান্ডা মাথায় কি খুন করেছে ঐশী? আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হয় তাই; আসলে কিন্তু তা নয়।ফেনসিডিল, ইয়াবা, গা্ঁজা, আলফেটামিন বা এই ধরনের নেশা দীর্ঘদিন করলে মস্তিস্কের সাধারন চিন্তা করার শক্তি লোপ পায়। তখন মানুষ সাইকিক হয়ে যায়।তখন তার স্বাভাবিক চিন্তাশক্তি লোপ পায়।
আবার "ইমপুল`স" (impulse) কথাও ফেলে দেয়া যায় না! দীর্ঘদিন ঐশীর
নেশা করা। নেশা সংগীদের সাথে চলতে মা-বাবার বারন করা, কিংবা শাসন করা। যা তার (ঐশীর) মনে বিরূপ বা নেগেটিভ প্রভাব ফেলে।এটাও ঐশীর মা-বাবা বুঝতে পারেন নি। তারা মনে করেছিলেন, তারা বারন করলেই ঐশী তাদের কথা শুনবে! কিন্তু তারা ভূলে গিয়েছিলেন যে, এটা মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ডিজুসের যুগ। আগেকার দিনে ছেলেমেয়েকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখলে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারতো না! সে দিন আর নেই! মোবাইল, এসএমএস, ইন্টারনেট, ফেসবুক, চ্যাটের কারনে আজ আর কোন কিছুই অসম্ভব নয়!
আবার, ঐশীর বাবা মার চাকুরী কিংবা ব্যস্ততার কারনে তারা হয়তো সময় দিতে পারেননি। আর এই ফা্ঁকেই হয়তো ঐশীর মনে হয় বাবা মাকে শেষ করতে পারলেই তার পথ পরিস্কার হবে!
আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বাংলাদেশের ১৮-১৯ বছরের একটা ছেলে বা মেয়ে ইউরোপ-আমরিকার ১০ বছরের বাচ্চার সমান বাস্তব জ্ঞানও রাখেনা। মা-বাবারা সন্তানকে সব সময় ছোট ভাবতেই অভ্যস্ত! এটাও কিশোর কিশোরীদের অনেকটা মানসিকভাবে পংগু করে দেয়। এই ধারনা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। সন্তানের সাথে সব কিছু শেয়ার করুন। তাদের সাথে খোলাখুলি কথা বলুন।সমাজ এবং আত্মীয় স্বজনের জন্য লজ্জা পাবেন না। মনে রাখবেন, সন্তান কিন্তু আপনার নিজের, আত্মীয় স্বজনের নয় ! প্রয়োজনে সাইকোথেরাপীর সাহায্য নিন।
No comments:
Post a Comment