Thursday 4 September 2014

ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন প্রকাশ: প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা করে একজন

প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহননের পথ বেছে নেন একজন মানুষ। আত্মহত্যার উপায় হিসেবে বিশ্বজুড়ে বিষ পানের নজির বেশি। মধ্য আয়ের দেশগুলোতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। নারীর চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা বেশি। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা করে একজন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বিষয়ে

এমন সব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ১৭২টি দেশের ওপর প্রায় এক যুগ গবেষণা চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সংস্থার প্রধান মার্গারেট চ্যান জানান, আনুমানিক ৮ লক্ষ লোক আত্মহত্যার মাধ্যমে জীবনের ইতি টেনেছেন। তবে অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে আত্মহত্যার হিসেব না থাকায় সংখ্যাটি নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।

চ্যান বলেন, প্রতিটি আত্মহত্যার ঘটনাই দুঃখজনক। তবে এই সমস্যা প্রতিরোধযোগ্য।

সামপ্রতিক সময়ে আত্মহননের ঘটনা নিয়ে মিডিয়ার অতি আগ্রহ মানুষকে আত্মহত্যায় উৎসাহিত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেও সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।

গবেষণা মোতাবেক ২০১২ সালে ধনী দেশগুলোতে প্রতি ১ লাখ মানুষে ১২.৭ জন আত্মহত্যা করতেন।  তখন মধ্য আয়ের দেশে এই হার ছিলো ১১.২ জন। পরে মধ্য আয়ের দেশে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে। এখন বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ আত্মহনন ঘটে এই অঞ্চলে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং নেপালে আত্মহত্যার নজির বেশি।

ধনী দেশগুলোতে এখন বিশ্বের চারভাগের একভাগ আত্মহত্যা ঘটে।

বিষ পান করে মরে যাওয়ার পদ্ধতিটাই সবচেয়ে প্রচলিত। ফাঁসিতে ঝুলে বা আগুনে পুড়ে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি। এশিয়ার নগরকেন্দ্রিক দেশগুলোতে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েও মারা যায় কেউ কেউ।

সারাবিশ্বে প্রতি ১ লাখে এখন ১১.৪ জন মানুষ আত্মহত্যা করে। তারমধ্যে নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ দেশটি গায়ানা। প্রতি লাখে আত্মহত্যা করে ৪৪.২ জন দেশটিতে। এরপরের শীর্ষস্থানগুলোতো বিভিন্ন অবস্থানে আছে- উত্তর কোরিয়া (৩৮.৫), দক্ষিণ কোরিয়া (২৮.৯), শ্রীলঙ্কা (২৮.৮), নেপাল (২৪.৯), ভারত (২১.১), রাশিয়া (১৯.৫), হাঙ্গেরি (১৯.১), জাপানের (১৮.৫) মতো দেশ।  
জাস্ট নিউজ 

No comments:

Post a Comment