সন্দেহ আমাদের জীবনের একটি অংশ। আমরা সন্দেহ করতে না চাইলেও এই ব্যাপারটি আমাদের সাথে ঘটে থাকে। এটি মূলত আমাদের স্বভাবগত সমস্যা। মন খুব বেশি সন্দেহপ্রবণ হলে তা আমাদের জীবনে নানা রকমের সমস্যা তৈরি করে। আমরা সন্দেহ করি স্বামীকে, স্ত্রীকে, সন্তানকে, নিজের পরিবারের অন্য মানুষের পাশাপাশি পাশের বাড়ির প্রতিবেশীকেও পর্যন্ত যে কে কী করছে আমাদের মনের অন্তরালে। এটা
একধরণের স্বভাব, পাশাপাশি বড় ধরনের মানসিক রোগও। খুব বেশী সন্দেহপ্রবণ হলে আপনার জীবনের পাশাপাশি পরিবারের মানুষগুলোরও নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তাই এই বিরক্তকর অভ্যাসটি থেকে কীভাবে আপনি রেহাই পাবেন জেনে নিন।
কী করণীয়
– প্রথমেই আপনার মনের সন্দেহ কী শুধু সন্দেহ (স্বাভাবিক পর্যায়ের), নাকি তা সন্দেহ বাতিক (অসুস্থতা) তা বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের সাহায্য নিন। লক্ষ্যণীয় যে, স্বামীর প্রতি সন্দেহের বিষয়টি নির্ভরযোগ্য কারোর সঙ্গে খুলে আলাপ করতে পারেন, এতে মন হালকা হবে। কিন্তু যাকে-তাকে বলে স্বামীর মান-সম্মান নষ্ট করবেন না এবং নিজেকেও হাসির পাত্র বানাবেন না।
– সুনির্দিষ্ট বাস্তব কোনো প্রমাণ না থাকলে অকারণে সন্দেহ করবেন না এবং সন্দেহমূলক প্রশ্ন করে সম্পর্কের জটিলতা বাড়াবেন না। কেননা যাকে সন্দেহ করছেন তিনি যদি সত্যিই সন্দেহের কিছু না করে থাকেন, তবে তার জন্য বিষয়টি একই সঙ্গে অপমানজনক, কষ্টকর এবং রাগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
– যদি সুনির্দিষ্ট বাস্তব প্রমাণ থেকে থাকে, তারপরও আরেকটু সময় নিন। বিষয়টা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। এক-দুটি প্রমাণের ভিত্তিতেই গর্জে উঠবেন না।
– খুব ইতিবাচক পদ্ধতিতে সুন্দরভাবে সঙ্গীকে আপনার সন্দেহের বিষয়টি জিজ্ঞেস করুন। তিনি যেন এ রকম মনে না করেন যে তাঁর পেছনে গোয়েন্দা লেগেছে।
– যদি মনে হয় সঙ্গী আপনাকে ভুল বোঝাচ্ছেন, সব কিছু লুকাচ্ছেন, তবে দুজনের সম্মতিতে আলোচনায় বসুন। আপনি আপনার প্রমাণগুলো ইতিবাচক পদ্ধতিতে উপস্থাপন করুন।
– এরপরও যদি আপনি সদুত্তর না পেয়ে থাকেন, তবে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিন (যাকে আপনার সঙ্গী মেনে নিতে রাজি হবেন), এই তৃতীয় পক্ষ হতে পারে পরিবারের কোনো নিরপেক্ষ সদস্য, কোনো গুরুজন আবার হতে পারেন কোনো কাউন্সিলর অথবা থেরাপিস্ট; যার সাহায্যে কোনো একটা সমাধানের দিকে যাওয়া যাবে।
-অসুস্থ পর্যায়ের সন্দেহ হলে অবশ্যই অবশ্যই মনঃচিকিৎসক দেখাতে হবে ও ওষুধ সেবন করতে হবে।
সন্দেহ বাতিক নারী-পুরুষ উভয়েরই হতে পারে।’সন্দেহ’ একটি চিন্তার পদ্ধতিগত জটিলতা বা রোগ, এটি নারী-পুরুষ যারই হয়ে থাকুক না কেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
একধরণের স্বভাব, পাশাপাশি বড় ধরনের মানসিক রোগও। খুব বেশী সন্দেহপ্রবণ হলে আপনার জীবনের পাশাপাশি পরিবারের মানুষগুলোরও নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তাই এই বিরক্তকর অভ্যাসটি থেকে কীভাবে আপনি রেহাই পাবেন জেনে নিন।
কী করণীয়
– প্রথমেই আপনার মনের সন্দেহ কী শুধু সন্দেহ (স্বাভাবিক পর্যায়ের), নাকি তা সন্দেহ বাতিক (অসুস্থতা) তা বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের সাহায্য নিন। লক্ষ্যণীয় যে, স্বামীর প্রতি সন্দেহের বিষয়টি নির্ভরযোগ্য কারোর সঙ্গে খুলে আলাপ করতে পারেন, এতে মন হালকা হবে। কিন্তু যাকে-তাকে বলে স্বামীর মান-সম্মান নষ্ট করবেন না এবং নিজেকেও হাসির পাত্র বানাবেন না।
– সুনির্দিষ্ট বাস্তব কোনো প্রমাণ না থাকলে অকারণে সন্দেহ করবেন না এবং সন্দেহমূলক প্রশ্ন করে সম্পর্কের জটিলতা বাড়াবেন না। কেননা যাকে সন্দেহ করছেন তিনি যদি সত্যিই সন্দেহের কিছু না করে থাকেন, তবে তার জন্য বিষয়টি একই সঙ্গে অপমানজনক, কষ্টকর এবং রাগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
– যদি সুনির্দিষ্ট বাস্তব প্রমাণ থেকে থাকে, তারপরও আরেকটু সময় নিন। বিষয়টা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। এক-দুটি প্রমাণের ভিত্তিতেই গর্জে উঠবেন না।
– খুব ইতিবাচক পদ্ধতিতে সুন্দরভাবে সঙ্গীকে আপনার সন্দেহের বিষয়টি জিজ্ঞেস করুন। তিনি যেন এ রকম মনে না করেন যে তাঁর পেছনে গোয়েন্দা লেগেছে।
– যদি মনে হয় সঙ্গী আপনাকে ভুল বোঝাচ্ছেন, সব কিছু লুকাচ্ছেন, তবে দুজনের সম্মতিতে আলোচনায় বসুন। আপনি আপনার প্রমাণগুলো ইতিবাচক পদ্ধতিতে উপস্থাপন করুন।
– এরপরও যদি আপনি সদুত্তর না পেয়ে থাকেন, তবে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিন (যাকে আপনার সঙ্গী মেনে নিতে রাজি হবেন), এই তৃতীয় পক্ষ হতে পারে পরিবারের কোনো নিরপেক্ষ সদস্য, কোনো গুরুজন আবার হতে পারেন কোনো কাউন্সিলর অথবা থেরাপিস্ট; যার সাহায্যে কোনো একটা সমাধানের দিকে যাওয়া যাবে।
-অসুস্থ পর্যায়ের সন্দেহ হলে অবশ্যই অবশ্যই মনঃচিকিৎসক দেখাতে হবে ও ওষুধ সেবন করতে হবে।
সন্দেহ বাতিক নারী-পুরুষ উভয়েরই হতে পারে।’সন্দেহ’ একটি চিন্তার পদ্ধতিগত জটিলতা বা রোগ, এটি নারী-পুরুষ যারই হয়ে থাকুক না কেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
নেট থেকে
No comments:
Post a Comment