Wednesday 19 July 2017

শুচিবায়ু বা অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি)


অবশেসন বা অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি) রোগটি অনেক পুরনো। গ্রামাঞ্চলে এ রোগটিকে শুচিবায়ু রোগ বলা হয়। অবসেশন রোগটি ছোটবেলাতেই শুুরু হয়। মোট জীবনকালে কখনো বাড়ে কখনো কমে। দেখা গেছে দুই-তৃতীয়াংশ অবসেশনের রোগী ডিপ্রেসনে আক্রান্ত হন। এটি একটি নীরব ঘাতক ব্যাধি। অবসেশন রোগে একই চিন্তা বারবার মাথায় আসে, একই কাজ বারবার করার প্রবণতা দেখা দেয়- যা রোগীর জন্য অত্যন্ত কষ্টের। বারবার একই জিনিস চেক করা, পারফেক্ট থাকার ইচ্ছা, সব কাজ নির্ধারিত সময়ে করার প্রবণতা প্রভৃতি উপসর্গ হিসেবে পাওয়া যায়। প্রতি ৪০ জন প্রাপ্তবয়স্কের একজন ও প্রতি ১০০ জন শিশু-কিশোরের একজন অবসেশন রোগে আক্রান্ত থাকে। অবসেশন রোগীদের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ সঠিক চিকিৎসাপ্রাপ্ত হয়। এত কম হওয়ার কারণ আক্রান্ত রোগীরা এটি যে একটি রোগ এটি বুঝতে পারেন না- তাই ডাক্তারের কাছে যান না বা রোগের কথা প্রকাশ হয়ে পড়লে লজ্জা পাবেন এই ভয় করেন। যা একদম ঠিক নয়।


Relaterad bild




Relaterad bild

অবসেশনের কারণ : অবসেশন রোগটি ছোটবেলাতেই শুরু হয়। মোট জীবনকালে কখনো বাড়ে, কখনো কমে। দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশ অবসেশনের রোগী ডিপ্রেসনে আক্রান্ত হন। ওসিডি বা অবসেশন মূলত শৈশবকালের বিভিন্ন আচরণ থেকে বিকাশ লাভ করে বলে মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন। তাদের ধারণা শিশুর নানা আচরণগত দিক শৈশবকালেই দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়া নিচের ফ্যাক্টরগুলোর সাথে অবসেশনের সুস্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে-


* মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার সেরোটনিনের কমতি অবসেশনের কারণ বলে মনে করা হয়, 
* বংশগত কারণ, 
* মস্তিষ্ক সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা, 
* মস্তিষ্কের কার্যক্রমের জটিলতা, 
* শৈশবকালীন ইনফেকশন বা সংক্রমণ অবসেশন হওয়ার একটা কারণ, 
* বাল্যকালের শুভ কিংবা অশুভ অভিজ্ঞতা, * অবচেতন মনের বিভিন্ন রকম কার্যক্রমের ব্যাঘাত ও কিছু চিন্তাগত সমস্যা।


অবসেশনের চিকিৎসা : অবসেশনের রোগীরা তাদের উপসর্গগুলো কারও কাছে, এমন কি ডাক্তারের কাছেও বলতে চান না। বরং মানুষের সামনে উপসর্গ যেন প্রকাশ হয়ে না পড়ে সেজন্য সচেষ্ট থাকেন। তারা মনে করেন এটি তার দুর্বলতা। পৃথিবীর আর কোনো মানুষের এ রোগ নেই। তাই তার মনের গভীরে লুকানো এলোমেলো চিন্তা বা মনে মনে সে পাপ করছে বলে মনে করে। রোগীর ধারণা এই পাপের কথা কি বলা যায়?

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, অবসেশন রোগটি চিকিৎসায় সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। 
অবসেশন রোগটির চিকিৎসার জন্য অনেক উন্নত ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়াও আরেকটি অত্যন্ত কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে যার নাম ‘বিহেভিয়ার’ থেরাপি। এই পদ্ধতিতে চিন্তার উদ্দীপনা বন্ধ করার উপায় অবলম্বন করা হয়। আবার যেটাতে বেশি চিন্তা হয় সে কাজটি বেশি করে করতে বলা হয়। এতে করে রোগী সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। তাই আর দেরি নয়, আজই আপনার সমস্যার কথা জানিয়ে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং সুস্থ থাকুন। 

1 comment:

  1. আমি আজ প্রায় তিন বছর ধরে একটা বড় ধরনের সমস্যায় ভুগছি।। আমি জানি না এটা psychology এর কোন শাখায় পড়বে.।এটা আমার জীবনকে প্রায় নিঃশেষ করে দিয়েছে।। আমি জানি না এর কোন চিকিৎসা আছে কিনা.।আমার সমস্যাটা হল আমি সাধারণ স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া গুলোতে মন সবসময় আটকে থাকে।এক ধরনে . জালের ভিতরে আমি আটকে গেছি..।কেউ কি আছেন আমাকে একটু সাহায্য করবার.।।।।

    ReplyDelete