আমাদের দেশে ধর্ষণের শিকার নারীর জীবনে ধর্ষণ কখনো শেষ হয় না ৷ নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে সে পরোক্ষভাবে বারবার মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হতে থাকে ৷ মামলা, তদন্ত, সাক্ষ্য গ্রহণ, বিচার প্রত্যেকটি পর্যায়েই যেন বারবার ‘ধর্ষণের শিকার হয়' মেয়েটি ৷
প্রথমে ভিকটিমের শারীরিক আলামত সংগ্রহের নামে যে ডাক্তারি পরীক্ষা হয় তাও ভয়াবহ ৷ দেখা যায় যে, ওয়ার্ড বয়দের মাধ্যমে এই পরীক্ষার সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ আর এই পরীক্ষায় শরীরের অনেক স্পর্শকাতর অঙ্গের মাপ উল্লেখ করা হয়, যা ধর্ষকের পক্ষে যায় ৷ যেমন স্তনের আকার যদি বড় হয় তাহলে নারীকে হ্যাবিচুয়েটেড প্রমাণের চেষ্টা চলে।
প্রথমে ভিকটিমের শারীরিক আলামত সংগ্রহের নামে যে ডাক্তারি পরীক্ষা হয় তাও ভয়াবহ ৷ দেখা যায় যে, ওয়ার্ড বয়দের মাধ্যমে এই পরীক্ষার সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ আর এই পরীক্ষায় শরীরের অনেক স্পর্শকাতর অঙ্গের মাপ উল্লেখ করা হয়, যা ধর্ষকের পক্ষে যায় ৷ যেমন স্তনের আকার যদি বড় হয় তাহলে নারীকে হ্যাবিচুয়েটেড প্রমাণের চেষ্টা চলে।
কোনো নারী যদি বৃহস্পতিবার রাতে থানায় রিপোর্ট করেন তাহলে তার পরীক্ষা হবে রোববার ৷ ৪৮
ঘন্টা পার হওয়ার পর তো আর আলামত তেমন পাওয়া যায় না ৷ অনেক সময় দেখা যায়, থানায় মামলা দিতে আসা ধর্ষিতা নারী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের দ্বারা ধর্ষিত হয়।(সুত্রঃ https://bit.ly/2QAl8OM)
ঘন্টা পার হওয়ার পর তো আর আলামত তেমন পাওয়া যায় না ৷ অনেক সময় দেখা যায়, থানায় মামলা দিতে আসা ধর্ষিতা নারী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের দ্বারা ধর্ষিত হয়।(সুত্রঃ https://bit.ly/2QAl8OM)
চলমান আইন কঠোর হলেও সাক্ষ্য আইনে অনেক সমস্যা আছে৷ ট্রাইব্যুনালে ১৮০ দিনে বিচার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বছরের পর বছর এসব মামলা ঝুলে থাকে৷ এই দীর্ঘ সময় ধর্ষণের শিকার নারীটি বিচার চাইতে গিয়ে পদে পদে ধর্ষণের শিকার হন ৷ তিনি যখন প্রথম থানায় অভিযোগ করেন,তখনই তাকে সন্দেহের চোখে দেখা হয় ৷ মামলা নেয়ার সময়ই নানা প্রশ্নে তাকে বিপর্যস্ত করা হয় ৷ তার ওপর মিডিয়ার প্রশ্নবানে জর্জরিত নারী খুল্লমখুল্লা ধর্ষিত হতে থাকে ক্ষণে ক্ষণে। খাওয়ারও সময় দেয় না, প্রশ্ন আসে কখন, কিভাবে ঘটনা ঘটেছে একটু খুলে বলুন।
ভিকটিমের সাক্ষ্য গোপন কক্ষে নেয়ার বিধান থাকলেও তা কার্যকর করা হয় না ৷ আর এক্ষেত্রে নারী ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষার কথা বলা হলেও বাস্তবে সেটা সবখানে হয় না।
এরপরে আদালতে যেভাবে ধর্ষিতা মেয়েটিকে জেরা করা হয়, তা শুধু "ধর্ষণ" বললে ভুল বলা হবে!
এ প্রসঙ্গে মনোচিকিৎসক ডা. মেখলা সরকার বলেন, ‘‘ধর্ষণ একজন নারীর জীবনে ইনজাস্টিস (অবিচার)৷ বিচার না পাওয়া আরো একটা ইনজাস্টিস ৷ তাই এরজন্য ভিকটিমকেই ট্রমা থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক জীবন যাপনের শক্তি অর্জন করতে হবে ৷ সামাজিক বা পারিপার্শ্বিক সহায়তা থাকলে এটা তার জন্য সহজ হবে ৷ কিন্তু মূল শক্তি ভিকটিমের মানসিক শক্তি ৷
dw
No comments:
Post a Comment