Saturday 3 September 2022

সাইবার বুলিং

 সাইবার বুলিং একটি নতুন শব্দ। অনলাইনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ব্যক্তিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য ঘটানো বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে সাইবার বুলিং সংঘটিত হয়ে থাকে। দেশে সাইবার বুলিংয়ের ঝুঁকি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এবং নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীরা সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন সাইবার বুলিংয়ের।সাধারণত কাউকে হয়রানি করা, ভয় দেখানো, রাগানো, লজ্জা দেওয়া, অপদস্থ করা, অসম্মান করা এ জাতীয় নানা ধরনের কর্মকাণ্ড বুলিংয়ের আওতায় পড়ে।হেনস্থাকারীদের কাছে কিছু আচরণ স্বাভাবিক মনে হতে পারে, মনে হতে পারে, সেটি নিছক মজা করা। কিন্তু হেনস্তার শিকার ব্যক্তির কাছে অনাকাংখিত এবং অপ্রত্যাশিত। এই আচরণকে এবং তার পুনরাবৃত্তি বুলিং হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে।  ইনবক্সে নোংরা ছবি, ভিডিও ক্লিপ, অশ্লীল বার্তা সাইবার বুলিংয়ের শিকার নারীরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।  

বুলিংয়ের শিকার হলে আপনি কি করবেন? 

সাইবার বুলিংয়ে আপনার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে, কাউকে না কাউকে ঘটনা বলে সাহায্য চাওয়া। সেটি পিতামাতা হোক, শিক্ষক হোক বা কাছের কোনো বিশ্বস্ত মানুষ হোক। এক্ষেত্রে অভিভাবকেরও দায়িত্ব হলো শিশু বা সন্তানের সাথে এগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা বা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন নিয়ে আন্তরিকতার সাথে জানতে চাওয়া। প্রতিকার হিসেবে ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এতে করে হেনস্থাকারী বরং উৎসাহিত হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বুলিং হয়ে থাকলে ব্লক করা, প্রাইভেসি সেট করাসহ ইত্যাদি নানা উপায়ে হেনস্থাকারীকে বিরত রাখা যেতে পারে।বন্ধু-বান্ধবদের কেউ সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, প্রয়োজনে তাদেরকে সাহায্য করতে পারে এমন কাউকে খুঁজে পেতে সহায়তা করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, দুঃসময়ে তাদের পাশে যে কেউ আছে, এই বোধটুকু তাদের মধ্যে জাগিয়ে তোলা খুব জরুরি। শিশু হোক,অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক হোক, সকল ক্ষেত্রেই চারপাশের মানুষগুলোর উচিত এই ধরনের অন্যায় হতে দেখলে সেগুলো সমর্থন না করা। প্রয়োজন ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ানো। 

তবে, প্রতিকার হিসেবে ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এতে করে হেনস্থাকারী বরং উৎসাহিত হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বুলিং হয়ে থাকলে ব্লক করা, প্রাইভেসি সেট করাসহ ইত্যাদি নানা উপায়ে হেনস্থাকারীকে বিরত রাখা যেতে পারে।

কে মেসেজ পাঠাতে পারবে, কে পারবে না, কে কমেন্ট করতে পারবে, কে পারবে না, প্রাইভেসি সেটিংসের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা রিপোর্ট করার ব্যবস্থাও আছে। প্রয়োজন হলে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ (যেমন, স্ক্রিনশট) রেখে দিতে হবে, যাতে করে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার উপায় থাকে।

No comments:

Post a Comment