কিছুদিন হলো মা-বাবা দেখলেন কেমন চুপচাপ আর বিষণ্ন থাকছে মেয়ে। অল্পতেই খুব জেদ ধরে আর খাওয়া, পড়াশোনা, খেলাধুলা কিছুতেই যেন ধৈর্য নেই। শিশুদের এমন আচরণকে বলা হয় ডিপ্রেশন বা বিষাদগ্রস্ততা
- মা-বাবা বা রক্তের সম্পর্কের কারো ডিপ্রেশন বা আবেগজনিত মানসিক সমস্যা থাকলে শিশুর এ রোগ হতে পারে।
- খুব কাছের কোনো প্রিয়জন বিয়োগ হলে এটা তার মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে।
- মা-বাবার দাম্পত্য কলহ বা পারিবারিক অশান্তি শিশুকে বিষাদগ্রস্ত করে।
- কোনো রকম শারীরিক বা মানসিক পীড়ন মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলতে পারে।
- স্কুল বা বাসা বদলও বিষাদের কারণ হতে পারে।
- কাজের লোকের কাছে বড় হওয়া বা মা-বাবার অবহেলাও শিশুর ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে।
লক্ষণঃ
- শিশু উদাসীন বা নির্লিপ্ত থাকা। কোনো কিছুতেই উৎসাহ বোধ না করা।
- পড়াশোনা, খেলাধুলা বা খাবার খেতে অনীহা প্রকাশ।
- ক্রমাগত মন খারাপ করা। মন খারাপের জের এক সপ্তাহ বা এর বেশি সময় ধরে থাকা।
- অকারণে জেদ বা কান্নাকাটি করা অথবা আক্রমণাত্মক আচরণ করা।
- হঠাৎ করে ওজন খুব বেড়ে বা কমে যাওয়া।
- টয়লেট ট্রেনিং থাকা সত্ত্বেও রাতে বিছানা ভেজানো।
- হঠাৎ খুব ভয় পাওয়া।
প্রতিকারঃ
- প্রথমে শিশুর মন খারাপের কারণ খুঁজে বের করুন। এ জন্য তার শিক্ষক, খেলার সঙ্গী বা বেশির ভাগ সময় যার কাছে থাকে তার থেকে খোঁজখবর নিন।
- মা-বাবা শিশুকে পর্যাপ্ত সময় দিন।
- ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, শপিং করার ফাঁকে শিশুর কাছ থেকে তার মন খারাপের কারণ জেনে নিন।
- শিশুকে খেলাধুলা, বই পড়া, ছবি আঁকা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে উৎসাহ দিন, তবে কোনো কিছুতেই জোর করবেন না।
- দাম্পত্য বা পারিবারিক কলহ থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
- শিশু কাজের লোকের কাছে বড় হলে, কাজের লোকটি বিশ্বস্ত কি না যাচাই করে নিন।
- যেকোনো রকম শারীরিক ও মানসিক পীড়ন বা নির্যাতন শিশুর মনে দীর্ঘস্থায়ী গভীর প্রভাব ফেলে। এসব বিষয়ে মা-বাবা সচেতন থাকুন।
- যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার পরও যদি শিশুর মন খারাপের মাত্রায় কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান।
সুত্রঃ নেট থেকে---
No comments:
Post a Comment