Saturday 28 March 2015

বাইপোলার ডিজঅর্ডার

Bildresultat för বাইপোলারএ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আবেগের দুটি পর্যায় থাকে। একটি পর্যায় হচ্ছে ম্যানিয়া বা হাইপোম্যানিয়া। ম্যানিয়া পর্যায়ে ব্যক্তিরা অস্বাভাবিক আনন্দ-ফূর্তি অথবা বিরক্ত বোধ করেন, নিজেকে অতি বিত্তশালী বা ক্ষমতাবান মনে করেন, কথা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী বলেন। তাদের মধ্যে অতি উত্তেজনা বা অতিরিক্ত কাজের স্পৃহা দেখা দেয়। কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বা কথায় স্থির থাকতে পারেন না। বেশী খরচ করেন অথবা দান করেন। ঘুম কমে যায়। অনেকের যৌন আগ্রহ অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। কিন্তু
আক্রান্তরা নিজেদেরকে স্বাভাবিক মনে করেন। তাদের আচরণের অস্বাভাবিকতা অন্যদের চোখে ধরা পড়ে। এসব উপসর্গ টানা সাতদিনের বেশী থাকলে একে ম্যানিয়া পর্যায় বলা হয়। উপসর্গের তীব্রতা ও স্থায়ীত্ব কম হলে একে হাইপোম্যানিয়া বলা হয়। বাইপোলার ডিজঅর্ডারে আবেগের অন্য পর্যায়টি বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন। অনেকের ক্ষেত্রে শুধু ম্যানিয়া পর্যায়টিই দৃশ্যমান হয়,  বিষন্নতার পর্যায়টি বোঝা না-ও যেতে পারে। কারো ক্ষেত্রে সারা জীবনে হয়তো দু-এক বার ম্যানিয়া পর্যায়টি দেখা দিতে পারে, কারো ক্ষেত্রে কয়েক বছর পর পর বা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটি হতে পারে। তবে, এর বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা রয়েছে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে আবেগের অবস্থাটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব।
অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের কারণে অনেকেই এই সমস্যাটিকে মানসিক রোগ বলে মানতে চান না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কহীন মানুষ তো বটেই, অনেক চিকিৎসক, এমনকি মানসিক রোগ ছাড়া অন্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাঝেও এ রোগ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। বাইপোলার ডিজঅর্ডার যে একটি মানসিক রোগ - এই সত্যটিকে অস্বীকার করা কেবল কুসংস্কার এবং অপচিকিৎসাকেই উৎসাহিত করে। 

No comments:

Post a Comment