যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এনায়েত কবির চঞ্চল (৪৮) নিজ মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের সদস্যসহ প্রত্যক্ষদর্শী সকলে এই দাবি করেছেন। পুলিশও একই অভিমত ব্যক্ত করে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে লাশ দাফন করার অনুমতি দিয়েছে।
তবে তার স্ত্রী নাজনীন জাহান বলেন, ‘পার্টিতে পদ-পদবী ও এমপি নমিনেশন পাওয়া নিয়ে অনেকদিন ধরেই চঞ্চল পলিটিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। এ থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’
বুধবার বিকেলে ধানমন্ডির এক নম্বর সড়কের ৩৯ নম্বর শারাকা-শাফিয়া ভবনের পঞ্চম তলায় নিজ বাসায় চঞ্চলের স্ত্রী নাজনীন জাহান, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও ওই ভবনের অন্য লোকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
চঞ্চলের স্ত্রী নাজনীন জাহান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘অন্যান্য দিনের মতো বুধবার সকালে স্বাভাবিকভাবে ঘুম থেকে ওঠেন। সকালের নাস্তা করেন। কিছুক্ষণ মাথা চেপে ধরে বসে থাকেন। ওষুধ খেয়ে নিচে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। এসময় তার পরনে একটি গেঞ্জি ও ফুল প্যান্ট ছিল। ঘর থেকে বের হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুনতে পারি সে নাকি নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
চঞ্চলের স্ত্রী নাজনীন জাহান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘অন্যান্য দিনের মতো বুধবার সকালে স্বাভাবিকভাবে ঘুম থেকে ওঠেন। সকালের নাস্তা করেন। কিছুক্ষণ মাথা চেপে ধরে বসে থাকেন। ওষুধ খেয়ে নিচে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। এসময় তার পরনে একটি গেঞ্জি ও ফুল প্যান্ট ছিল। ঘর থেকে বের হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুনতে পারি সে নাকি নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে নাজনীন বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কোনো ধরণের খারাপ সম্পর্ক ছিল না। সবসময় একটা সুখী পরিবারের মধ্যে বাস করতেন। স্বজনদের নিয়ে কোনো মনমালিন্যও ছিল না। এমনকি আমার সঙ্গেও না।’
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের দিকে প্রথম তার মেনটাল ডিপ্রেশন ধরা পড়ে। ওই সময় তিনি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা থেকে মনোনয়ন না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এরপর তার চিকিৎসা করা হয়। তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করেন। এরপর ২০১৩ সালের শুরুর দিকে যুবলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে দলে মন মালিন্য হয়। এ সময় চঞ্চল পুনরায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। মানসিক চিকিৎসক অধ্যাপক এম এ হামিদের চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে তার মা মমতাজ জাহান মারা গেলে তিনি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েন। আবার শুরু হয় চিকিৎসা। ওষুধ চলছিল।এ অবস্থায় হঠাৎ এই আত্মহনন।’
No comments:
Post a Comment