Saturday 12 September 2015

নার্ভাস ব্রেক ডাউন এবং কিছু লক্ষণ

ইন্টারভিউ বা গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজের আগে কি আপনি উত্কণ্ঠায় ভোগেন? গুরপত্বপূর্ণ পরীক্ষার আগে ঘামতে থাকেন? বস ডেকে পাঠালেই পালাতে ইচ্ছা করে? উত্তরগুলো যদি হ্যাঁ হয়, তবে আপনার নার্ভাস ব্রেকডাউন হচ্ছে।
মানসিক চাপ যখন মনের আবেগের সঙ্গে বোঝাপড়া করার মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়। অনেক সময়ই কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করার ঠিক আগে এই ধরণের সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। প্রত্যেকেরই চাপ নেওয়ার, সহ্য করার নিজস্ব মাত্রা থাকে। কীভাবে বুঝবেন আপনি সেই মাত্রা অতিক্রম করে যাচ্ছেন? নার্ভাস ব্রেকডাউন হওয়ার আগে কিছু শারীরিক অস্বস্তি জানান দেয়। জেনে নিন এমনই ৫টি লক্ষণ-
১. মাথা ঘোরা বা খালি খালি লাগা
কখনও মনে হয়েছে চারপাশের সবকিছু ঘুরছে? মাথা ঘোরা দিয়েই শুরু হয় নার্ভাস ব্রেক ডাউন। আপনার মানসিক চাপ সহ্য করার মাত্রা যখন অতিক্রম করে যায় তখনই মাথা ঘোরা শুরু হয়।
২. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন নার্ভাস ব্রেক ডাউনের অন্যতম লক্ষণ। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়বে না কোনও কারণ। বুক ধড়ফড় করতেও পারে।
৩. অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
যদি হাত অতিরিক্ত ঘেমে ঠান্ডা হয়ে যায় তবে সাবধান হোন। আপনার নার্ভাস ব্রেকডাউন হতে পারে। এর মাধ্যমে শরীর বুঝিয়ে দেয় আপনি চাপে আছেন, উত্কণ্ঠায় ভুগছেন।
৪. ক্লান্তি ও অবসাদ
ক্রমাগত ক্লান্তি মাথায় চেপে বসাও নার্ভাস ব্রেক ডাউনের আভাস হতে পারে। যেকোনও কাজ করতেই শরীর যেন সায় দেবে না।
৫. কাঁপুনি
হাতে পায়ে কাঁপুনি ধরে শরীর অবসাদ হয়ে গেলে বুঝতে হবে আপনার অবশ্যই নার্ভাস ব্রেক ডাউন হয়েছে। অপ্রস্তুত হয়ে পড়লে যে মানসিক চাপ তৈরি হয় তার ফলেই সারা শরীর কাঁপতে শুরু করে।
এমন যদি বার বার চলতে থাকে, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করা উচিৎ। 
সংকলিত, ইন্টারনেট থেকে 

No comments:

Post a Comment