গর্ভধারণ যে কোনো নারীর জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের যদি না তা অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপ্রত্যাশিত হয়। গর্ভধারণের পর প্রায় প্রতিটি মা বিচরণ করতে থাকেন অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ কল্পনায়। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে আশাহত হতে হয়, যখন মা জানতে পারেন তাঁর গর্ভে কোনো সন্তান নেই। এমনই এক সমস্যার নাম সিউডোসায়েসিস (Pseudocyesis) বা ভ্রান্ত গর্ভধারণ।এক্ষেত্রে একজন মহিলা বিশ্বাস করেন তিনি গর্ভবতী এবং সেই সাথে গর্ভধারণের কিছু কিছু লক্ষণও নিজের মধ্যে দেখতে পান, যদিও তিনি বাস্তবিক অর্থে গর্ভধারণ করেননি। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই সমস্যা দেখা যায়। যেসব দেশে বিবাহ ও সন্তান ধারণ সমাজ ব্যবস্থায় গুরুত্ব বহন করে সেসব দেশেও এ সমস্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি। তবে শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং গর্ভধারণ পরীক্ষার সহজলভ্যতার কারণে এ সমস্যা দিন দিন কমছে।
রোগের কারণ
এ রোগের মূল কারণ জানা না গেলেও কিছু কিছু মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরিক কারণে এটি হতে পারে। মনস্তাত্ত্বিক কারণে যেমন- সন্তান ধারণের প্রবল ইচ্ছা, বারবার গর্ভে সন্তান নষ্ট হওয়া, দীর্ঘদিন বান্ধ্যত্ত্ব সমস্যায় ভোগা এমনকি সময়ের পূর্বেই মাসিক বন্ধ হয়ে গেলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে মস্তিষ্ক এসব লক্ষণকে সত্যিকার
গর্ভধারণের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং কিছু কিছু হরমোন নিঃসৃত করতে থাকে।
দেখা গেছে দারিদ্রতা, শিক্ষার অভাব, শিশু বয়সে যৌন হয়রানীর শিকার অথবা সম্পর্কের টানাপোড়ন থেকেও এটা হতে পারে।
রোগের লক্ষণ
এদের ক্ষেত্রেও সন্তান সম্ভবা নারীর যে কোনো লক্ষণই থাকতে পারে। যেমন- মাসিক বন্ধ থাকা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, দূর্বলতা, মাথা ঘোরানো, স্তন বড় হওয়া এমনকি পেটের মধ্যে বাচ্চা নড়াচড়ার অনুভূতিও হতে পারে।
রোগের চিকিৎসা
গর্ভধারণ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর একজন নারীকে গর্ভে সন্তান না থাকার খবরটি দেয়া কঠিন। কিন্তু এই নিষ্ঠুর সত্যটি পারিবারকে একসময় জানাতেই হয়। তাই খুব ধৈর্য্য আর আন্তরিকতার সাথে এ সত্যটি জানাতে হবে। সেই সময় নারীর জন্য মানসিক সহযোগিতা বাড়ানো অনেক বেশি প্রয়োজন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাইকোথেরাপিরও প্রয়োজন হতে পারে।
সংকলিত
সৌজন্য :ডা. ওয়ালিউল হাসনাত সজীব
রোগের কারণ
এ রোগের মূল কারণ জানা না গেলেও কিছু কিছু মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরিক কারণে এটি হতে পারে। মনস্তাত্ত্বিক কারণে যেমন- সন্তান ধারণের প্রবল ইচ্ছা, বারবার গর্ভে সন্তান নষ্ট হওয়া, দীর্ঘদিন বান্ধ্যত্ত্ব সমস্যায় ভোগা এমনকি সময়ের পূর্বেই মাসিক বন্ধ হয়ে গেলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে মস্তিষ্ক এসব লক্ষণকে সত্যিকার
গর্ভধারণের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং কিছু কিছু হরমোন নিঃসৃত করতে থাকে।
দেখা গেছে দারিদ্রতা, শিক্ষার অভাব, শিশু বয়সে যৌন হয়রানীর শিকার অথবা সম্পর্কের টানাপোড়ন থেকেও এটা হতে পারে।
রোগের লক্ষণ
এদের ক্ষেত্রেও সন্তান সম্ভবা নারীর যে কোনো লক্ষণই থাকতে পারে। যেমন- মাসিক বন্ধ থাকা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, দূর্বলতা, মাথা ঘোরানো, স্তন বড় হওয়া এমনকি পেটের মধ্যে বাচ্চা নড়াচড়ার অনুভূতিও হতে পারে।
রোগের চিকিৎসা
গর্ভধারণ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর একজন নারীকে গর্ভে সন্তান না থাকার খবরটি দেয়া কঠিন। কিন্তু এই নিষ্ঠুর সত্যটি পারিবারকে একসময় জানাতেই হয়। তাই খুব ধৈর্য্য আর আন্তরিকতার সাথে এ সত্যটি জানাতে হবে। সেই সময় নারীর জন্য মানসিক সহযোগিতা বাড়ানো অনেক বেশি প্রয়োজন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাইকোথেরাপিরও প্রয়োজন হতে পারে।
সংকলিত
সৌজন্য :ডা. ওয়ালিউল হাসনাত সজীব
No comments:
Post a Comment