নিজের অপরাধে বাবা-মাকে স্কুলে ডেকে এনে অপমান করায় গত সোমবার (৩ ডিসেম্বর) আত্মহত্যা করেছে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী।
আত্মহত্যা দুই ধরনের হয়। পরিকল্পিত ও আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যা। সাধারণত টিন-এজ গ্রুপই আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যা করে। এই বয়সে আবেগ বেশি থাকে, ক্রোধ থাকে, অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়ে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের মেয়েটির হয়ত স্কুলে পড়ার চাপ ছিল।
এ কারণে সে যদি দেখে যে নকল করলে ভালো করা যাবে সেজন্য চাপ থাকলে তারা এ কাজ করতে পারে। এরপর তার মা-বাবাকে ডেকে নিয়ে শিক্ষক বকাঝকা করেছেন। এটা তো তার জন্য একটা বড় ধরনের অপমান। আবার তাকে বলা হয়েছে, তোমাকে টিসি (ছাড়পত্র)দেওয়া হবে। অর্থাৎ সে মনে করলো যে, টিসি দেওয়া মানে আমার জীবনের সব শেষ। এই যে অপমান, হতাশা, চাপ এই বিষয়গুলো আবেগতাড়িত আত্মহত্যার কারণ।
আত্মহত্যার উদ্দেশ্য কখনোই মৃত্যু নয়! শুধু মাত্র সাময়িক ভাবে মুক্তি খোঁজে। টিন এজারদের মধ্যে এই আত্মহত্যা প্রবণতার নাম হচ্ছে ‘প্যারাসুইসাইড’। ক্লাস এইট বা টেন, এই সময়টা
বয়ঃসন্ধির সময়।এই সময় একজন ছেলে বা মেয়ের শারীরিক এবং মানসিক সব রকম পরিবর্তন হয়। এসময় তাদের মধ্যে দৈহিক ও মানসিকতার পরিবর্তন আসে।তাদের মাঝে অতৃপ্ততা এবং প্রবল আত্মসম্মানবোধ জেগে ওঠে।
বয়ঃসন্ধির সময়।এই সময় একজন ছেলে বা মেয়ের শারীরিক এবং মানসিক সব রকম পরিবর্তন হয়। এসময় তাদের মধ্যে দৈহিক ও মানসিকতার পরিবর্তন আসে।তাদের মাঝে অতৃপ্ততা এবং প্রবল আত্মসম্মানবোধ জেগে ওঠে।
আমাদের দুর্ভাগ্য যারা এই কোমলমতি বাচ্চাদের শিক্ষা দিবেন, সেই শিক্ষকদেরকে আমরাও সচেতন করতে পারিনি।
শিক্ষকদের যদি আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সচেতন করতে পারতাম তাহলে এই বিপদটি ঘটতো না, তাহলে তারা(শিক্ষকরা) শাসক এবং শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারতেন না। ভিকারুননিসার মতো একটি নামকরা প্রতিষ্ঠান এখানে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কি ঘটছে?
শিক্ষকদের যদি আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সচেতন করতে পারতাম তাহলে এই বিপদটি ঘটতো না, তাহলে তারা(শিক্ষকরা) শাসক এবং শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারতেন না। ভিকারুননিসার মতো একটি নামকরা প্রতিষ্ঠান এখানে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কি ঘটছে?
No comments:
Post a Comment